Thursday, May 4, 2017

কে হচ্ছেন মনিরামপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক

মনিরামপুর কণ্ঠ ডেক্স।।

মনিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদকের শুন্য পদটি পুরনের জন্য দীর্ঘদিন পর তোড়জোড় শুরু হয়েছে। আর এ পদটি পেতে সংগঠনের তৃনমুল থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে ধর্না দেয়া শুরু করেছেন অনেক নেতা। অবশ্য এ ব্যাপারে আগামি ৮ মে ঢাকায় আ’লীগের সাধারন সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সাথে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় হবার কথা রয়েছে। ফলে উপজেলা আ’লীগের সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে আট নেতা এখন কেন্দ্রীয় নেতাসহ বিভিন্ন স্থানে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন। এমনটি জানা গেছে উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাদের সাথে কথা বলে। অবশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে।
সূত্রে জানাযায়, বিগত ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় মনিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিল। অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় কমিটির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক এমপিসহ জেলা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। কাউন্সিল অধিবেশনে উপজেলা আওয়ামী লীগের গঠিত কমিটির শুধুমাত্র দু’টি পদে অধ্যক্ষ কাজী মাহমুদুল হাসানকে সভাপতি এবং গোলাম মোস্তফাকে সাধারন সম্পাদক হিসেবে ঘোষনা করা হয়। পরের বছর ২০১৫ সালের ৬ ডিসেম্বর মৃত্যু হয় সাধারন সম্পাদক গোলাম মোস্তফার। গোলাম মোস্তফার মৃত্যুর পর থেকে অধ্যাবধি পর্যন্ত সাধারন সম্পাদকের পদটি রয়েছে শুন্য। ফলে উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে এখন রয়েছেন শুধুমাত্র সভাপতি। এক সদস্যের কমিটির নেতৃত্বে দলটির কার্যক্রম বর্তমান চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। তার ওপর দলের ভেতরেও চলছে বহুমুখি গ্রুপিং। ফলে আওয়ামী লীগের মধ্যে বর্তমান হ-য-ব-র-ল অবস্থা বিরাজ করছে। সম্প্রতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক অধিকাংশ নেতৃবৃন্দ পুনরায় রিকাউন্সিলের মাধ্যমে পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠনের দাবি জানিয়ে দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর লিখিত আবেদন করেন। আর এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমেও একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়।
একাধিক নেতার সাথে কথা বলে জানাগেছে মনিরামপুরে এ সংগঠনটির প্রানচাঞ্চল্য ফিরিয়ে আনতে কেন্দ্রীয়ভাবে নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। তারই ফলশ্রুতিতে আগামি ৮ মে ঢাকায় দলটির সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে মনিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের মতবিনিময়ের কথা রয়েছে। ওই মতবিনিময় সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদকের শুন্য পদটি পুরনসহ পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠনের একটি নির্দেশনা দেয়া হতে পারে বলে একাধিক নেতা জানিয়েছেন। ফলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদকের পদটি পাবার জন্য প্রায় ডজন খানেক নেতা তৃনমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতাদের সরনাপন্ন হচ্ছেন বলে জানাগেছে। দলটির নেতাকর্মীদের সাথে আলাপ করে জানাগেছে ইতিমধ্যে সাধারন সম্পাদক হতে মাঠে ময়দানে চষে বেড়াচ্ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু। অবশ্য তার বর্নাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ার রয়েছে সেই ছাত্র রাজনীতি থেকে। একই প্রত্যাশায় প্রয়াত সাধারন সম্পাদক গোলাম মোস্তফার ছোট ছেলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা প্রভাষক ফারুক হোসেন দীর্ঘদিন ধরে নেতাকর্মীদের সাথে মিশে রয়েছেন। পিতার পদটি পাবার জন্যে। অবশ্য গোলাম মোস্তফার মৃত্যুর পর ফারুকের প্রতি দলের নেতাকর্মীদের বেশ উদারতা লক্ষ্যণীয়। অন্যদিকে আর এক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মিকাইল হোসেনও জনসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন সাধারন সম্পাদক হবার জন্য। তারও বর্নাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ার রয়েছে। এ ছাড়া সাধারন সম্পাদক হতে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন পর পর দুই বার নির্বাচিত উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি নাজমা খানম, উপজেলা আ’লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক গাউসুল মোস্তাক, আবুল কালাম আজাদ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হাশেম আলী, ভোজগাতী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক। এ ব্যাপারে উপজেলা আ’লীগের বর্তমান সভাপতি পৌর মেয়র অধ্যক্ষ কাজী মাহমুদুল হাসান বলেন, আগামি ৮ মে ঢাকায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় হওয়ার কথা রয়েছে। আশা করা হচ্ছে ওই মতবিনিময় থেকে সব সমস্যা সমাধান হবে।

0 comments: