স্টাফ রিপোর্টার: শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলায় পতেঙ্গালী-মালঞ্চি গ্রামের মধ্যবর্তী রাস্তার ওপর থেকে ওই গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত পার্বতী রায় যশোরের মণিরামপুরের শ্যামকুড় গ্রামের অধীর রায়ের মেয়ে। তার মা যমুনা রায় শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি করেন। তার বাবা-মা বর্তমানে যশোর শহরের আরএন রোড এলাকায় নতুন বাজারের পেছনে মতিয়ারের বাড়ির ভাড়াটিয়া।
নিহতের বাবা অধীর রায় জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিরব ওরফে রাব্বি দীপাবলিতে পুজো দেখার কথা বলে তার মেয়েকে নিয়ে যান।
তিনি বলেন, শুক্রবার দুপুরে পুলিশ খবর দিলে মর্গে গিয়ে মেয়ের লাশ দেখেছি। পার্বতীর ৭ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। তার স্বামী মহিতোষ ভারতে থাকায় আমাদের সাথে থাকতেন।
হত্যাকাণ্ডের পর থেকে নিরব পালাতক রয়েছে। নিরব ওরফে রাব্বি যশোর সদরের মাজদিয়া এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
যশোর কোতোয়ালি থানার এসআই মোকলেসুজ্জামান জানান, দুপুরে খবর পেয়ে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এর পর অধীর রায় ও যমুনা রায় হাসপাতালে এসে লাশটি তাদের মেয়ে পার্বতী বলে নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, যুবক নিরবকে খুঁজছে পুলিশ। তাকে পেলে হত্যার মূল রহস্য জানা যাবে। তবে তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে কিনা সেটা ডাক্তারের রিপোর্টের পরই নিশ্চিত হওয়া যাবে।
0 comments: