মণিরামপুর কণ্ঠ ডেক্স।।
সরকারি নির্দেশনা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে মণিরামপুরে ওএমএস-এর চাল বিক্রি শুরু হয়নি। বুধবার সকালে এই চাল বিক্রি শুরু হওয়ার কথা ছিল।
নির্ধারিত সময়ে গুদাম থেকে চাল সরবরাহ না পাওয়ায় ডিলাররা ক্রেতাদের কাছে চাল বিক্রি করতে পারেননি। ফলে কম দামে চাল পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন মণিরামপুরের নিম্ন আয়ের ৬০০ পরিবার। উপজেলা খাদ্য অফিস বলছে, আদেশের কপি দেরিতে পাওয়ায় বুধবার চাল বিক্রি সম্ভব হয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, খাদ্যশস্যের বাজার দরের ঊর্ধ্বগতি রোধে, নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীকে মূল্য সহায়তা প্রদান ও বাজারদর স্থিতিশীল রাখতে সারা দেশের মতো মণিরামপুরেও ওএমএস খাতে চাল বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এই লক্ষে খাদ্য অধিদপ্তর থেকে মঙ্গলবার একটি নির্দেশনা জারি করা হয়। বুধবার থেকে এই চাল বিক্রির কথা ছিল। কিন্তু মণিরামপুরে এই চাল বিক্রির কোনো কার্যক্রম চোখে পড়েনি।
মণিরামপুর উপজেলা খাদ্য অফিসের একটি সূত্র জানায়, নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে পরিবারপ্রতি ৩০ টাকা দরে পাঁচ কেজি করে ওএমএসের চাল বিক্রির কথা। শহরে তিনজন ডিলারের মাধ্যমে প্রতিদিন এক মেট্রিক টন করে মোট তিন টন চাল বিক্রির নির্দেশনা আছে। প্রতিদিন উপজেলার ৬০০ গরিব পরিবার এই সুবিধা পাবে।
সূত্রটি আরো জানায়, ইউএনও কর্মস্থলে না থাকায় কাগজপত্র স্বাক্ষর হয়নি। তাই বুধবারের চাল বিক্রি করা সম্ভব হয়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ডিলার বলেন, 'মঙ্গলবার রাতে খাদ্য অফিস থেকে আমাদের ফোন করে বলা হয়েছে, আজ কাগজপত্র জমা দিতে। আমরা কাগজপত্র জমা দিয়ে চাল তুলেছি। কাল থেকে চাল বিক্রি করা হবে। ' মণিরামপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফাতেমা সুলতানা বলেন, 'অর্ডারের কাগজ পেয়েছি মঙ্গলবার রাতে। গুদাম থেকে চাল তোলার কার্যক্রম চলছে। বৃহস্পতিবার থেকে চাল বিক্রি শুরু হবে। '
মণিরামপুরে কেন, কোনো উপজেলায় ডিলাররা বুধবার চাল বেচতে পারেননি, দাবি এই কর্মকর্তার। মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) হোসাইন মুহাম্মদ আল-মুজাহিদ বলেন, 'বিকেলে আমার কাছে কাগজপত্র আনার সাথে সাথে স্বাক্ষর করে দিয়েছি। '
বুধবারতো চাল বিক্রির কথা ছিল,তাহলে কেন হলো না?- এমন প্রশ্নে তিনি খাদ্য নিয়ন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
0 comments: