জাতীয় কাউন্সিলে কাউন্সিলর তালিকায় নাম নেই মনিরামপুরের সাবেক ও বর্তমান দুই এমপির
মণিরামপুর কণ্ঠ ডেক্স।।
আজ থেকে শুরু হওয়া দুইদিন ব্যাপী বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রিয় কাউন্সিলের কাউন্সিলর হিসেবে তালিকায় স্থান পায়নি যশোরের মণিরামপুরের সাবেক ও বর্তমান এমপিদ্বয়। ১৯ অক্টোবর কেন্দ্রিয় আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাক্ষরিত কাউন্সিলরেদের তালিকায় যশোর জেলার ১২১ জন স্থান পেলেও নাম নেই মনিরামপুরের আওয়ামীলীগ দলীয় সাবেক এমপি এড. খান টিপু সুলতানের। মনিরামপুর আসন থেকে বারবার নির্বাচিত বর্ষিয়ান এই নেতা জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতিসহ ছাত্র জীবন থেকেই দলের গূরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। এক সময়ে যশোরের তুখোড় এই ছাত্রনেতা সম্প্রতি নবগঠিত জেলা কমিটি হতেও বাদ পড়েছেন। এমনকি সদস্য হিসেবে দেখা যায়নি বঙ্গবন্ধুর আস্থাভাজন এই নেতার নাম। আওয়ামীলীগের স্থানীয় দলীয় একটি সূত্র জানায়, ওয়ান ইলিভেনের সময়ে সংস্কার পন্থী নেতাদের আস্থা ভাজন হিসেবে চিহ্নিত হওয়া এবং বিগত সংসদ নির্বাচন পরবর্তী সময়ে তার পারিবারিক একটি হত্যাকান্ডের ঘটনায় চরম ইমেজ সংকটে পড়েন খান টিপু সুলতান। এঘটনায় বিচারের দাবিতে সারাদেশে আন্দোলন শুরু হলে একপ্রকার আওয়ামীলীগকেই তার জবাবদিহিতা করতে হয়। এতে কেন্দ্রিয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দসহ খোদ আওয়ামীলীগ সভানেত্রী নিজেই বেশ চটে যান তার উপর। এরই খেসারত গুনতে হচ্ছে বলেও কাউন্সিলর থেকে নাম বাদ পড়ার পর থেকে এলাকায় বেশ জোরে সোরে প্রচার পাচ্ছে।
অপরদিকে মণিরামপুরের বর্তমান এমপি স্বপন ভট্টাচার্য্য বিগত নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেতে ব্যর্থ হয়ে নেত্রীর সিদ্ধান্ত অবমাননা করে খান টিপু সুলতানের বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ওই নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত ভোট বর্জন করায় নৌকার বিপক্ষে ভোটযুদ্ধে নেমেও সুবিধাজনক অবস্থান পেয়ে যান তিনি। যার ফলশ্রুতিতে সারাদেশে নৌকার জয়জয়কার থাকলেও আওয়ামীলীগের ভোট ব্যাংকখ্যাত মনিরামপুর আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন তৎকালিন জেলা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ স্বপন ভট্টাচার্য্য। দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে এমপি হলেও তাকে বহিষ্কার করা হয় দল থেকে। আজও বহিষ্কারাদেশ ফিরিয়ে নেওয়া হয়নি বলে দলীয় সূত্রটি জানায়। আর এ বহিষ্কারের সাথে সাথে স্থানীয় আওয়ামী রাজনীতিতে কোনঠাসা হয়ে পড়েন তিনি। সাবেক এমপি খান টিপু সুলতানের মতো বাদ পড়েন জেলা কমিটি থেকেও। আওয়ামীলীগ যশোর জেলা সূত্র জানায়, বহিষ্কৃত তাই কমিটির সদস্য পদেও স্থান পায়নি। যে কারনেই ২০ তম জাতীয় কাউন্সিলেও কাউন্সিলর হিসেবে নাম নেই স্বতন্ত্র এই এমপির। এদিকে মনিরামপুরের উপজেলা চেয়ারম্যান, মেয়র, একজন ইউপি চেয়ারম্যানসহ কাউন্সিলর হিসেবে অন্যান্যদের নাম থাকলেও সাবেক ও বর্তমান দুই এমপির নাম না থাকায় অনেকটা হতাশাগ্রস্থ হয়েছেন তাদের সমর্থকরা।
0 comments: