Saturday, October 21, 2017

যশোরে পূজা দেখতে গিয়ে খুন হলেন পার্বতী
স্টাফ রিপোর্টার: শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলায় পতেঙ্গালী-মালঞ্চি গ্রামের মধ্যবর্তী রাস্তার ওপর থেকে ওই গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত পার্বতী রায় যশোরের মণিরামপুরের শ্যামকুড় গ্রামের অধীর রায়ের মেয়ে। তার মা যমুনা রায় শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি করেন। তার বাবা-মা বর্তমানে যশোর শহরের আরএন রোড এলাকায় নতুন বাজারের পেছনে মতিয়ারের বাড়ির ভাড়াটিয়া।

নিহতের বাবা অধীর রায় জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিরব ওরফে রাব্বি দীপাবলিতে পুজো দেখার কথা বলে তার মেয়েকে নিয়ে যান।

তিনি বলেন, শুক্রবার দুপুরে পুলিশ খবর দিলে মর্গে গিয়ে মেয়ের লাশ দেখেছি। পার্বতীর ৭ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। তার স্বামী মহিতোষ ভারতে থাকায় আমাদের সাথে থাকতেন।

হত্যাকাণ্ডের পর থেকে নিরব পালাতক রয়েছে। নিরব ওরফে রাব্বি যশোর সদরের মাজদিয়া এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে।

যশোর কোতোয়ালি থানার এসআই মোকলেসুজ্জামান জানান, দুপুরে খবর পেয়ে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এর পর অধীর রায় ও যমুনা রায় হাসপাতালে এসে লাশটি তাদের মেয়ে পার্বতী বলে নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, যুবক নিরবকে খুঁজছে পুলিশ। তাকে পেলে হত্যার মূল রহস্য জানা যাবে। তবে তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে কিনা সেটা ডাক্তারের রিপোর্টের পরই নিশ্চিত হওয়া যাবে।
মনিরামপুরে আদালতের আদেশ অমান্য করে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীর বিয়ে
মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি : বাল্য বিয়ে বন্ধের পর একটি চক্রের প্ররচনায় মনিরামপুরে ভ্রাম্যমান আদালতের আদেশ অমান্য করেছেন সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া সেই ছাত্রীকে বিয়ে দেয়া হয়েছে। বাল্য বিয়ে বন্ধের সময় মেয়ের উপযুক্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিবাহ দিবো না বলে ভ্রাম্যমান আদালতকে লিখিত অঙ্গীকারনামা দিয়েছিলো মেয়ের পিতা।
কিন্তু সপ্তাহ পার না হতেই অন্য উপজেলায় নিয়ে ওই শিশু কন্যাকে বিয়ে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকার শিক্ষিত সমাজসহ স্থানীয়রা আদালতের আদেশ অমান্য কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী তুলেছেন।
জানাযায়, উপজেলার টুনিয়াঘরা মহিলা আলিম মাদ্রাসার ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী টুরিয়াঘরা গ্রামের আলতাফ বিশ্বাসের কন্যা জান্নাতুল ফেরদৌসকে বিয়ে দিতে যখন সবকিছু ঠিক-ঠাক তখন গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চলে ওই গ্রামে। এ সময় আদালতের বিচারক মণিরামপুরের সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হোসাইন মুহাম্মদ আল মুজাহিদ ওই বাল্য বিয়ে বন্ধের নির্দেশ দেন। পুলিশের উপস্থিতির খবর পেয়ে ওইদিন কথিত এক বিয়ে রেজিষ্ট্রি কাজী এবং বর পক্ষ পালিয়ে যায়। এরপর মাদ্রাসা ছাত্রীর পিতা আলতাফ বিশ্বাস আদালতের বিচারকের নিকট লিখিত অঙ্গীকার নামা দিয়ে বলেন, কন্যার প্রাপ্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত তাকে বিবাহ দিবো না। উক্ত অঙ্গীকার নামায় স্বাক্ষর করেন ছাত্রীর মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি শহিদুল ইসলাম, প্রভাষক নূরুল হক, কলেজ শিক্ষক হয়রত আলীসহ স্থানীয় অনেকেই।
এদিকে আদালতের আদেশ এক সপ্তাহ পার না হতেই স্থানীয় আব্দুল হামিদসহ একটি চক্রের মাধ্যমে ছাত্রীর অভিভাবকরা গত রবিবার ওই মাদ্রাসা ছাত্রীকে যশোর সদর উপজেলার অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে সেই পাত্রের সাথে বিয়ে সম্পন্ন করে। আদালতের আদেশ অমান্য করে ৭ম শ্রেনীর ছাত্রীকে বিয়ে দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই ছাত্রীর মাদ্রাসার পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মোড়ল, শিক্ষক নূরুল হক ও স্থানীয় ইউপি মেম্বর রেজাউল ইসলাম। এ ঘটনায় এলাকার শিক্ষিত সমাজসহ স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। দাবী উঠেছে আদালতের আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের।

Friday, October 20, 2017

রোহিতায় প্রয়াত আ'লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাকের স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

মণিরামপুর কণ্ঠ ডেক্স।।

১নং রোহিতা ইউনিয়নের ৬নং কোদলাপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের প্রয়াত সভাপতি আব্দুর রাজ্জাকের স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে ৬নং ওয়ার্ড আ'লীগ কতৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রোহিতা ইউনিয়ন আ'লীগের সভাপতি হাফিজ উদ্দীন।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন আ'লীগের সহ-সভাপতি ডাঃ মোঃ শের আলী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা বাবু, ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক তোরাব হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক আশরাফুল আলম, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতৃবন্দ।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন  ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়ক সোহাগ হোসেন।

Tuesday, October 10, 2017

না ফেরার দেশে চলেগেলেন রোহিতার আ’লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক
মণিরামপুর কণ্ঠ ডেক্স।।

না ফেরার দেশে চলেগেলেন মনিরামপুরের ১নং রোহিতা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি  আব্দুর রাজ্জাক সরদার।


তিনি ঢাকা ক্যান্সার হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৯/১০/২০১৭ তারিখে অনুমানিক রাত ১১:৩০ মিনিটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
মহুরুমের জানাজা জোহর বাদ নিজ বাসভবনে অনুষ্ঠিত হয়।


উক্ত জানাজায় উপস্থিত ছিলেন রোহিতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু আনছার সরদার, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাফিজ উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী বিশ্বাস, সহ-সভাপতি অধীর মন্ডল, ডাঃ মোঃ শের আলী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কাজী ইনদাদুল হক, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক অরবিন্দু হাজরা, যুগ্ম-আহবায়ক শহিদুল ইসলাম, ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রমজান আলী, সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলাম, সাবেক যুবলীগনেতা শেখ মোহর আলী, সাবেক জেলা ছাত্রলীগনেতা আশরাফুল আলম, রোহিতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়ক সোহাগ হোসেন, যুগ্ম-আহবায়ক নাজমুল হাসান নয়ন, ছাত্রলীগনেতা মেহেদি, জনি, পিয়াল প্রমূখ।

Saturday, September 30, 2017

প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে মনিরামপুরে ছাত্রলীগের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
মণিরামপুর কণ্ঠ ডেক্স।।

মাদার অব হিউম্যানিটি, বিশ্বশান্তির অগ্রদূত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭১ তম জন্মদিন উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে মনিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক ছাত্রনেতা মুরাদুজ্জামান মুরাদ এর সভাপতিত্বে ও উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহবায়ক ফজলুর রহমানের সঞ্চালনায় উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোআ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।



উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মনিরামপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র আলহাজ্ব অধ্যক্ষ কাজী মাহমুদুল হাসান, বিশেষ অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা আইনজীবি পরিষদের সদস্য এডঃ বশির খান, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতিও তরুন আ'লীগ নেতা সন্দীপ ঘোষ, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহবায়ক ফরহাদ হোসেনসহ উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য, ইউনিয়ন ও কলেজ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।



এছাড়াও দোআ মাহফিল পরিচালনা করেন উপজেলা আ'লীগ নেতা ও দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়ন আ'লীগের সাবেক সভাপতি মাওলানা গোলাম সরোয়ার।

Monday, September 25, 2017

মণিরামপুর কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা
মণিরামপুর কণ্ঠ ডেক্স।।

মণিরামপুর কলেজ শাখার আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দিয়েছে মণিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগ। এতে আহ্বায়ক করা হয়েছে মোঃ হাবিবুর রহমান দ্বীপকে। সোমবার বিকালে এই কমিটি অনুমোদনের কথা জানানো হয়।

মনিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মোঃ মুরাদুজ্জামান মুরাদ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দুই মাসের জন্য এই কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে মোঃ জামিল হোসেন জনি, মোঃ ইস্রাফিল হোসেন, মোঃ খালেদুর রহমান, মোঃ আবু সালেহ, মোঃ সাদ্দাম হোসেন, আবু হুরাইরা (হেলাল)কে। এছাড়া কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে ৬৪জনকে।

Thursday, September 21, 2017

মণিরামপুরে ওএমএসের চাল বিক্রি হয়নি
মণিরামপুর কণ্ঠ ডেক্স।।

সরকারি নির্দেশনা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে মণিরামপুরে ওএমএস-এর চাল বিক্রি শুরু হয়নি।  বুধবার সকালে এই চাল বিক্রি শুরু হওয়ার কথা ছিল।

নির্ধারিত সময়ে গুদাম থেকে চাল সরবরাহ না পাওয়ায় ডিলাররা ক্রেতাদের কাছে চাল বিক্রি করতে পারেননি।  ফলে কম দামে চাল পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন মণিরামপুরের নিম্ন আয়ের ৬০০ পরিবার।  উপজেলা খাদ্য অফিস বলছে, আদেশের কপি দেরিতে পাওয়ায় বুধবার চাল বিক্রি সম্ভব হয়নি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, খাদ্যশস্যের বাজার দরের ঊর্ধ্বগতি রোধে, নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীকে মূল্য সহায়তা প্রদান ও বাজারদর স্থিতিশীল রাখতে সারা দেশের মতো মণিরামপুরেও ওএমএস খাতে চাল বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।  এই লক্ষে খাদ্য অধিদপ্তর থেকে মঙ্গলবার একটি নির্দেশনা জারি করা হয়।  বুধবার থেকে এই চাল বিক্রির কথা ছিল।  কিন্তু মণিরামপুরে এই চাল বিক্রির কোনো কার্যক্রম চোখে পড়েনি।

মণিরামপুর উপজেলা খাদ্য অফিসের একটি সূত্র জানায়, নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে পরিবারপ্রতি ৩০ টাকা দরে পাঁচ কেজি করে ওএমএসের চাল বিক্রির কথা।  শহরে তিনজন ডিলারের মাধ্যমে প্রতিদিন এক মেট্রিক টন করে মোট তিন টন চাল বিক্রির নির্দেশনা আছে।  প্রতিদিন উপজেলার ৬০০ গরিব পরিবার এই সুবিধা পাবে।

সূত্রটি আরো জানায়, ইউএনও কর্মস্থলে না থাকায় কাগজপত্র স্বাক্ষর হয়নি।  তাই বুধবারের চাল বিক্রি করা সম্ভব হয়নি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ডিলার বলেন, 'মঙ্গলবার রাতে খাদ্য অফিস থেকে আমাদের ফোন করে বলা হয়েছে, আজ কাগজপত্র জমা দিতে।  আমরা কাগজপত্র জমা দিয়ে চাল তুলেছি।  কাল থেকে চাল বিক্রি করা হবে। ' মণিরামপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফাতেমা সুলতানা বলেন, 'অর্ডারের কাগজ পেয়েছি মঙ্গলবার রাতে।  গুদাম থেকে চাল তোলার কার্যক্রম চলছে।  বৃহস্পতিবার থেকে চাল বিক্রি শুরু হবে। '

মণিরামপুরে কেন, কোনো উপজেলায় ডিলাররা বুধবার চাল বেচতে পারেননি, দাবি এই কর্মকর্তার।  মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) হোসাইন মুহাম্মদ আল-মুজাহিদ বলেন, 'বিকেলে আমার কাছে কাগজপত্র আনার সাথে সাথে স্বাক্ষর করে দিয়েছি। '

বুধবারতো চাল বিক্রির কথা ছিল,তাহলে কেন হলো না?-  এমন প্রশ্নে তিনি খাদ্য নিয়ন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।

Wednesday, September 20, 2017

যবিপ্রবিতে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন বুধবার থেক
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (ইঞ্জিনিয়ারিং/সম্মান) প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। আগামীকাল বুধবার দুপুর ১২টা থেকে ১৯ অক্টোবর রাত ১২টা পর্যন্ত http://just.ambersoftwaresolutions.com ওয়েবসাইটে ঢুকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আবেদন করা যাবে।
আগামী ৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার এবং ১০ শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এ ইউনিট; দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত বি ইউনিট এবং বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সি ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ই ইউনিট; বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ডি ইউনিট এবং বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এফ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি ইউনিটে সাতটি অনুষদের মাধ্যমে ২২টি বিভাগে মোট ৭৭৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এ আসনগুলো ছাড়াও মোট আসনের ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ১ শতাংশ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, ১ শতাংশ প্রতিবন্ধী এবং যবিপ্রবিতে কর্মরত শিক্ষক/ কর্মকর্তা/কর্মচারীদের ওয়ার্ডের জন্য (শুধুমাত্র সন্তান) ১ শতাংশ পোষ্য কোটা সংরক্ষিত থাকবে। ২২টি বিভাগের মধ্যে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, ম্যানেজমেন্ট এবং ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগ বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদনাধীন আছে। ইউজিসির অনুমোদনসাপেক্ষে এ তিনটি বিভাগে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হবে।
এ ছাড়া ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্যাবলি www.just.edu.bd ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। আবেদনকারীরা সহায়তা পেতে হেল্পলাইন +৮৮০১৭৪৬৫১৪৫২০, +৮৮০১৭৫৯২০৫২১৮, +৮৮০১৭৫৯২০৫১৭৫ যোগাযোগ করতে পারবেন। (সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত হেল্পলাইন খোলা থাকবে)।
ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল আগামী ১২ নভেম্বর ২০১৭ তারিখের মধ্যে প্রকাশ করা হবে। প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হবে ৬ জানুয়ারি, ২০১৮ তারিখে।
যবিপ্রবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আব্দুর রশিদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

Monday, September 18, 2017

রাজগঞ্জ বাজারে ছাত্রলীগের সন্ত্রাস ও জঙ্গি বিরোধী মিছিল অনুষ্ঠিত
মণিরামপুর কণ্ঠ ডেক্স।।

সন্ত্রাস ও জঙ্গি বিরোধী প্রচারনা এবং সরকারের উন্নয়নের বিভিন্ন প্রচার উপলক্ষে যশোর জেলা ছাত্রলীগ ও মনিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগ এর  উদ্যোগে  রাজগঞ্জ বাজারে মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত  হয়েছে। উক্ত মিছিলে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক  সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল ,উপস্থিত ছিলেন ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামছুল হক মন্টু, জেলা পরিষদের সদস্য  ও চালুয়াহাটী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ শহিদুল ইসলাম মিলন, ঝাঁপা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ কাওসার আহমেদ,মশ্বিমনগর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হোসেন,  যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি সুব্রত বিশ্বাস , স্থানীয় আ'লীগ নেতা রবিউল ইসলাম রবি, মেম্বার মোস্তফা কামাল নান্নু সহ যশোর জেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ, মনিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ সহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।
 রোহিঙ্গারা ক্যাম্প ছাড়লে অবৈধ গণ্য হবেন : আইজিপি
মণিরামপুর কণ্ঠ ডেক্স।।

রোহিঙ্গাদের মানবিক দিক বিবেচনা করে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, তারা যদি ক্যাম্প থেকে বের হয়ে দেশের অন্য জায়গায় ছড়িয়ে যেতে চায়, তাহলে তারা অবৈধ ব্যক্তি হিসেবে গণ্য হবেন।

সোমবার দুপুরে পুলিশ সদরদপ্তরে সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে শহীদুল হক এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, মানবিক দিক বিবেচনা করে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তাদের জন্য দুই হাজার একর জমিতে শরণার্থী শিবিরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু নির্দিষ্ট শিবিরের বাইরে ছড়িয়ে পড়লে আইন অনুযায়ী অবৈধ ব্যক্তি হিসেবে গণ্য হবেন। তারা ছড়িয়ে পড়লে প্রচলিত আইনে তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানোর নিয়ম রয়েছে। তবে মানবিক বিবেচনায় কোনো রোহিঙ্গাকে নির্ধারিত এলাকার বাইরে পেলে উদ্ধার করে নির্দিষ্ট শিবিরে পাঠানো হবে। এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক রোহিঙ্গাকে বাইরে থেকে উদ্ধার করে শিবিরে পাঠানো হয়েছে বলে জানান আইজিপি।

শহীদুল হক বলেন, নির্ধারিত স্থানে তাদের জন্য বাসস্থান, খাদ্য, চিকিৎসা ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রোহিঙ্গা ব্যক্তিদের পরিচয়পত্র দেওয়া হচ্ছে, তাদের সব তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। সম্পূর্ণ ব্যবস্থাপনা এবং সামাজিক সমস্যা বিবেচনায় তাদের নির্দিষ্ট স্থানে থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

‘রোহিঙ্গারা ছড়িয়ে পড়লে হয়তো বাংলাদেশের নাগরিক হতে চাইবে, অথবা কাজ করার চেষ্টা করবে। তারা হয়তো কোনো অপরাধে জড়িয়ে পড়বে কিংবা কোনো প্রতারক চক্রের মাধ্যমে অপরাধে শিকার হবে। তবে আশার বিষয় হলো রোহিঙ্গারা দেখতে আমাদের মতো হলেও ভাষাগত দিকে এক নয়। তাই তারা ছড়িয়ে পড়লেও ধরা পড়বেই।’

মিয়ানমারের দুই ফটো সাংবাদিককে গ্রেপ্তারের বিষয়ে শহীদুল হক বলেন, তারা ভ্রমণ ভিসায় এসে রোহিঙ্গা শিবিরে ছবি ও তথ্য সংগ্রহ করছিল। ট্যুরিস্ট ভিসায় এসে সাংবাদিকতা করলে আমরা তা ‌‘অ্যালাউ’ করব না।

তিনি আরো বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে আশ্রিতদের (রোহিঙ্গা) জঙ্গিবাদে যুক্তের চেষ্টা হতে পারে। তারা এ দেশের জঙ্গি দলে যোগ দিয়ে অন্য কোনো দেশে হামলা চালাতে পারে। এজন্য বাংলাদেশকে ব্যবহার করা হবে। তবে আমাদের নজরদারী রয়েছে। এসব বিষয় আমরা সহ্য করব না।’

চালের কৃত্রিম সংকটকারীদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কেউ খাদ্য শস্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব এবং আশুরার নিরাপত্তা প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, দুর্গাপূজা ও আশুরা বরাবরের মতো নিরাপদ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রতি বছরই দুর্গাপূজায় মন্ডপের সংখ্যা বাড়ছে, কারণ আগের চেয়ে মানুষ বেশি নিরাপত্তা বোধ করছে। ৩০ সেপ্টেম্বর দশমী এবং তাজিয়া মিছিল একই দিনে হওয়ায় সমন্বয়ের মাধ্যমে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

Saturday, July 22, 2017

মনিরামপুর পৌর মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসানের রাষ্টীয় সফরে জাপান গমন
মনিরামপুর কণ্ঠ ডেক্স।।

মনিরামপুর পৌরসভার মেয়র ও মনিরামপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব অধ্যক্ষ কাজী মাহমুদুল হাসান ৭ দিনের রাষ্টীয় সফরে জাপান যাচ্ছেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় মন্ত্রনালয়ের সিলেকশনে এসপিজি প্রকল্পের আওতায় জাপানের জাইকার কারিগরি সহায়তায় তিনি সেখানে এক প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন। আজ ২২ রাতে সিংগাপুর এয়ারলাইন্সের বিমানে জাপানের টোকিও'র উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন তিনি। শিজুকা শহরে প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া ছাড়াও জাপানের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন সহ ওই দেশের কয়েকটি শহরের মেয়রদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হবেন। আগামী ৩০ জুলাই টোকিও থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। একই সাথে তিনি মনিরামপুরবাসীর দোআ ও আশির্বাদ কামনা করেছেন।

Friday, June 23, 2017

মনিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
মণিরামপুর কণ্ঠ ডেক্স।।

ঐতিহ্যবাহী যশোর জেলা ছাত্রলীগের আসন্ন ১০ জুলাই এর সম্মেলনকে সফল করার লক্ষে মনিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক ছাত্রনেতা মোঃ মুরাদুজ্জামান মুরাদ এর সভাপতিত্বে মনিরামপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যশোর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রনেতা জনাব আব্দুল মজিদ। প্রধান অতিথীর বক্তব্যে তিনি বলেন- দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে হবে। সরকারের যুগোপযোগী নীতি গ্রহনে শিক্ষা, কৃষি, বিদ্যুৎসহ প্রতিটি সেক্টর দূর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে। দেশ যখন এগিয়ে চলেছে ঠিক তখনি একটি গোষ্টি সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে নানা মূখী ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। এই গোষ্টিকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে হবে। বৃহস্পতিবার উপজেলা ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনাসভা ও ইফতার মাহফিলের প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মনিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও মনিরামপুর পৌর মেয়র বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ জননেতা জনাব আলহাজ্ব অধ্যক্ষ কাজী মাহমুদুল হাসান, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও মনিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান জননেতা জনাব আমজাদ হোসেন লাভলু, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা প্রভাষক মোঃ ফারুক হোসেন,

প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক ছাত্রনেতা মোঃ আনোয়ার হোসেন বিপুল, মনিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামীলীগের তরুণ জনপ্রিয় নেতা এডভোকেট বশির আহমেদ খান, বক্তব্য রাখেন সাবেক ছাত্রনেতা বাবু সন্দীপ কুমার ঘোষ, সরকারি এম এম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও যশোর জেলা ছাত্রলীগের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ছাত্রনেতা মোঃ রওশন ইকবাল শাহী, শহর ছাত্রলীগের আহবায়ক ও যশোর জেলা ছাত্রলীগের শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মেহেদী হাসান রনি, এম এম কলেজ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ তৌহিদুর রহমান তৌহিদ, যশোর জেলা ছাত্রলীগের গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদ হাসান, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহবায়ক ফরহাদ হোসেন, ফজলুর রহমান, জামাল হোসেন, সহ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।

Thursday, May 25, 2017

মণিরামপুরে কিশোরের রহস্যজনক মৃত্যু
মণিরামপুর কণ্ঠ ডেক্স।।

মণিরামপুরে হৃদয় দাস (১৭) নামের এক কিশোরের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার গভীর রাতে উপজেলার খেদাপাড়া দাসপাড়ায় ফুফুর বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে সে আত্মহত্যা করেছে বলে স্বজনদের দাবি।
হৃদয় দাস একই উপজেলার হোগলাডাঙ্গা গ্রামের বকুল দাসের ছেলে। সে যশোর রেলজংশনের পাশে হরিজনপল্লীতে থাকতো।
এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে হৃদয়ের বাবা বাদী হয়ে মণিরামপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেছেন।
খেদাপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই ইকবাল হোসেন লাশ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছেন।
এসআই ইকবাল জানান, বুধবার সকালে হৃদয় খেদাপাড়া দাসপাড়ায় তার ফুফু বাড়িতে বেড়াতে আসে। রাতে তার ফুফু বাড়ির লোকজন তাকে একা রেখে কাশিমনগর ইউনিয়নের ইত্যা দাসপাড়ায় একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যান। রাত দুইটার দিকে বাড়িতে এসে তারা ঘরের ভেতর থেকে দরজা বন্ধ অবস্থায় পান। অনেক ডাকাডাকির পরও হৃদয় দরজা না খোলায় জানলা দিয়ে ভেতরে তাকিয়ে তারা হৃদয়ের লাশ ঝুলতে দেখেন। খবর পেয়ে দরজা খুলে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এসআই ইকবাল আরো জানান, হৃদয়ের সঙ্গে পঞ্চম শ্রেণিপড়–য়া একটি মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছিল। এখন মেয়েটির পরিবার তার সঙ্গে বিয়ে দিতে চাইছে না। এই ক্ষোভে সে আত্মহত্যা করতে পারে বলে তার স্বজনরা ধারণা করছেন।
যশোরে মনিরামপুর উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটি গঠন
মণিরামপুর কণ্ঠ ডেক্স।।

যশোরে মনিরামপুর উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এতে উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু কে আহবায়ক, শরিফুল ইসলাম রিপন ও মনিরুজ্জামান মিল্টন কে যুগ্ম-আহবায়ক করে কমিটি অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি।

এতে স,ম আলাউদ্দীন, লিয়াকত আলী, জুলফিকার আলী জুলু, পলাশ কুশারি, আব্দুল কুদ্দুস, মঞ্জু, আজিম হোসেন, লিটন হোসেন, শিপন, গাজী আসাদ, ইয়াহিয়া রাজু, শফিকুল ইসলাম(রাজগঞ্জ), মহিদুল ইসলাম, ফিরোজ হোসেন, কালাম, জাকির মেম্বার, তালেব, আইয়ুব পাটোয়ারী কে সদস্য করে মোট ২১ জনকে এই কমিটিতে রাখা হয়।

আগামী ৯০ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি।

Friday, May 19, 2017

আমি নেতা নই জনগণের সেবক হতে চাই- টিপু সুলতান
মণিরামপুর কণ্ঠ ডেক্স।।

মণিরামপুরের গণমানুষের নেতা, বারবার নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য খান টিপু সুলতান বলেছেন, ‘আমি নেতা হতে চাই না, আমি জনগণের সেবক হতে চাই। জনগণের সেবা করার জন্যই আমার জন্ম হয়েছে। আমি জনগণের সেবা করতে চাই। কাউকে কষ্ট দিতে চাই না। যারা আমার ক্ষতি করে, যারা অমানুষ তাদের মনুষত্ব শেখানোর জন্যই আল্লাহ আমাকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন।’ গতকাল শুক্রবার বিকেলে যশোরের মণিরামপুর পৌরশভা চত্বরে আয়োজিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
টিপু সুলতান বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারিতে মণিরামপুরে ঘটে যাওয়া সব ঘটনা আমি নেত্রীকে লিখিত আকারে জানিয়েছিলাম। নেত্রী আমাকে কথা দিয়েছেন, মণিরামপুরের মানুষ যতদিন আমাকে চায়, আমি যতদিন বেঁচে থাকি ততদিন তিনি আমাকে মনোনয়ন দেবেন। আমাকে সেই লক্ষে কাজ করে যেতে পরামর্শ দিয়ে হয়েছে। তিনি বলেন, নেত্রী আমাকে যশোর সদরে মনোনয়ন দিতে চেয়েছিলেন। আমি বলেছিলাম, মণিরামপুরবাসীকে আমি কথা দিয়েছি, সখে-দুঃখে তাদের পাশে থাকব।’ পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক এই সাংসদ আরো বলেন, ‘মণিরামপুরের মানুষ শান্তিতে নেই, তারা কষ্টে আছে। তাদেরকে বিভিন্নভাবে সন্ত্রাস চাঁদাবাজরা কষ্ট দিচ্ছে। মণিরামপুরের মানুষ আমাকে সব কথা জানিয়েছে।’ প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা জনগণকে কষ্ট দেওয়া এসব এমপি, চেয়ারম্যানদের বেআইনি হুকুম তামিল করবেন না। যদি করেন তাহলে একদিন জনগণের কাছে আপনাদের জবাব দিতে হবে। বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত নেতাকর্মীদের পদচারনায় এসময় পৌরসভা চত্বর কানায় কানায় ভরে ওঠে।
এর আগে শুক্রবার দিনব্যাপী মণিরামপুর পৌরভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নিয়ে গণসংযোগ করেন সাবেক এই সাংসদ।
পৌর কমিশনার গৌর কুমার ঘোষের সভাপতিত্বে ও প্রভাষক মামুনুর রশিদ জুয়েলের পরিচালনায় পথসভায় বক্তব্য রাখেন, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মিকাইল হোসেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এরশাদ আলী, আদম আলী, মোস্তফা কামাল, জামাল উদ্দীন, আমেনা বেগম, ছাত্রনেতা নিশাত কামাল, এসএম রবিউল ইসলাম প্রমুখ। এছাড়া পৌর কাউন্সিলর বাবুল করিম, ইউপি সদস্য সঞ্জয় রাহা, ইসমাইল হোসেন, হারুন-অর-রশিদ, ইসহাক আলী, দেবাশীষ মাষ্টার, কোমল ম-ল প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। পথসভা শেষে একটি মিছিল পৌর শহর প্রদক্ষিণ করে।

Thursday, May 4, 2017

কে হচ্ছেন মনিরামপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক
মনিরামপুর কণ্ঠ ডেক্স।।

মনিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদকের শুন্য পদটি পুরনের জন্য দীর্ঘদিন পর তোড়জোড় শুরু হয়েছে। আর এ পদটি পেতে সংগঠনের তৃনমুল থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে ধর্না দেয়া শুরু করেছেন অনেক নেতা। অবশ্য এ ব্যাপারে আগামি ৮ মে ঢাকায় আ’লীগের সাধারন সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সাথে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় হবার কথা রয়েছে। ফলে উপজেলা আ’লীগের সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে আট নেতা এখন কেন্দ্রীয় নেতাসহ বিভিন্ন স্থানে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন। এমনটি জানা গেছে উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাদের সাথে কথা বলে। অবশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে।
সূত্রে জানাযায়, বিগত ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় মনিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিল। অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় কমিটির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক এমপিসহ জেলা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। কাউন্সিল অধিবেশনে উপজেলা আওয়ামী লীগের গঠিত কমিটির শুধুমাত্র দু’টি পদে অধ্যক্ষ কাজী মাহমুদুল হাসানকে সভাপতি এবং গোলাম মোস্তফাকে সাধারন সম্পাদক হিসেবে ঘোষনা করা হয়। পরের বছর ২০১৫ সালের ৬ ডিসেম্বর মৃত্যু হয় সাধারন সম্পাদক গোলাম মোস্তফার। গোলাম মোস্তফার মৃত্যুর পর থেকে অধ্যাবধি পর্যন্ত সাধারন সম্পাদকের পদটি রয়েছে শুন্য। ফলে উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে এখন রয়েছেন শুধুমাত্র সভাপতি। এক সদস্যের কমিটির নেতৃত্বে দলটির কার্যক্রম বর্তমান চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। তার ওপর দলের ভেতরেও চলছে বহুমুখি গ্রুপিং। ফলে আওয়ামী লীগের মধ্যে বর্তমান হ-য-ব-র-ল অবস্থা বিরাজ করছে। সম্প্রতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক অধিকাংশ নেতৃবৃন্দ পুনরায় রিকাউন্সিলের মাধ্যমে পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠনের দাবি জানিয়ে দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর লিখিত আবেদন করেন। আর এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমেও একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়।
একাধিক নেতার সাথে কথা বলে জানাগেছে মনিরামপুরে এ সংগঠনটির প্রানচাঞ্চল্য ফিরিয়ে আনতে কেন্দ্রীয়ভাবে নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। তারই ফলশ্রুতিতে আগামি ৮ মে ঢাকায় দলটির সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে মনিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের মতবিনিময়ের কথা রয়েছে। ওই মতবিনিময় সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদকের শুন্য পদটি পুরনসহ পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠনের একটি নির্দেশনা দেয়া হতে পারে বলে একাধিক নেতা জানিয়েছেন। ফলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদকের পদটি পাবার জন্য প্রায় ডজন খানেক নেতা তৃনমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতাদের সরনাপন্ন হচ্ছেন বলে জানাগেছে। দলটির নেতাকর্মীদের সাথে আলাপ করে জানাগেছে ইতিমধ্যে সাধারন সম্পাদক হতে মাঠে ময়দানে চষে বেড়াচ্ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু। অবশ্য তার বর্নাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ার রয়েছে সেই ছাত্র রাজনীতি থেকে। একই প্রত্যাশায় প্রয়াত সাধারন সম্পাদক গোলাম মোস্তফার ছোট ছেলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা প্রভাষক ফারুক হোসেন দীর্ঘদিন ধরে নেতাকর্মীদের সাথে মিশে রয়েছেন। পিতার পদটি পাবার জন্যে। অবশ্য গোলাম মোস্তফার মৃত্যুর পর ফারুকের প্রতি দলের নেতাকর্মীদের বেশ উদারতা লক্ষ্যণীয়। অন্যদিকে আর এক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মিকাইল হোসেনও জনসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন সাধারন সম্পাদক হবার জন্য। তারও বর্নাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ার রয়েছে। এ ছাড়া সাধারন সম্পাদক হতে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন পর পর দুই বার নির্বাচিত উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি নাজমা খানম, উপজেলা আ’লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক গাউসুল মোস্তাক, আবুল কালাম আজাদ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হাশেম আলী, ভোজগাতী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক। এ ব্যাপারে উপজেলা আ’লীগের বর্তমান সভাপতি পৌর মেয়র অধ্যক্ষ কাজী মাহমুদুল হাসান বলেন, আগামি ৮ মে ঢাকায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় হওয়ার কথা রয়েছে। আশা করা হচ্ছে ওই মতবিনিময় থেকে সব সমস্যা সমাধান হবে।
মনিরামপুরের হাদিউজ্জামান ফয়সাল মধুসূদন ডিবেট ফেডারেশনের সভাপতি নির্বাচিত
মণিরামপুর কণ্ঠ ডেক্স।।

বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ বিতর্ক  সংগঠন(২০১৬), দক্ষিণবঙ্গের একমাত্র  বিতর্ক সংগঠন  মাইকেল মধুসূদন ডিবেট ফেডারেশনেরর (M M D F) এর সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মনিরামপুরের কৃতি সন্তান মোঃ হাদিউজ্জামান ফয়সাল। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হাসানুল বারী, (অবঃ) প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা এর একমাত্র পুত্র এবং সরকারি এম এম কলেজের গনিত বিভাগের মেধাবি ছাত্র।

তিনি মনিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য ও খেদাপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়ক হিসেবে দ্বায়িত্বরত আছেন।

দীর্ঘ দিন ধরে তিনি বিতর্কের সঙ্গে জড়িত আছেন। মাইকেল মধুসূদন ডিবেট ফেডারেশনে ২০০৯ সাল থেকে  বিতর্ক নিয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গৌরবের সাথে কাজ করে চলেছেন। ইতিমধ্যে প্রায় ৭২ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৬৫০০ বিতর্ক প্রেমিক ছাত্র -ছাত্রীদের মধ্যে বিতর্ক শিল্পের বীজ বপন করে দিয়েছেন। শুধু যশোর নয় সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ, খুলনা সহ বিভিন্ন জেলায় যুক্তিবাদী একজন তার্কিক যোদ্ধা হিসাবে শিক্ষার্থীদের পরিনত করার জন্য নিরন্তর কাজ করে চলেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালে মাননীয় মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এর হাত থেকে তিনি শ্রেষ্ঠ বিতর্ক সংগঠনের স্বীকৃতিস্বরুপ পুরষ্কার লাভ করেন। ইতিমধ্যে এই সংগঠনের জাতীয় পর্যায়ের বিতার্কিক প্রতিযোগীতায় অনেক বার দেশ সেরা, বিভাগ চ্যাম্পিয়ন, একক শ্রেষ্ঠ বক্তা, বিভিন্ন ভার্সিটি চ্যাম্পিয়ন, রানার্সআপ, বিটিভি সেমিফাইনালিস্ট সহ বহু প্রতিযোগীতায় সাফল্যেরর ধারা অব্যহত রেখে চলেছেন। তার স্বপ দক্ষিন বঙ্গের একমাত্র বিতর্ক সংগঠন মাইকেল মধুসূদন ডিবেট ফেডারেশন বির্তকের  জন্য একদিন বাংলাদেশে বিখ্যাত হবে।
এছাড়াও ছাত্রলীগের এই নেতা মাইকেল মধুসুদন ডিবেট ফেডারেশনের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সজিব কুশারী, মনিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মোঃ মুরাদুজ্জামান মুরাদ, যুগ্ম-আহবায়ক ফজলুর রহমান, রোহিতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়ক মোঃ সোহাগ হোসেন সহ উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।

Sunday, April 2, 2017

মাস্টার্স শেষ বর্ষের পরীক্ষা আগামী ১৭ই এপ্রিল শুরু
মণিরামপুর কণ্ঠ ডেক্স।।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের মাস্টার্স শেষ পর্ব পরীক্ষা আগামী ১৭ এপ্রিল থেকে শুরু হবে। পরীক্ষার পরিবর্তিত সময়সূচি অনুযায়ী এ পরীক্ষা ১৭ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ১৩ জুন শেষ হবে। আগামী ১৭ এপ্রিল থেকে ২৪ মে পর্যন্ত অনুষ্ঠেয় পরীক্ষাসমূহ প্রতিদিন বেলা ২টা থেকে শুরু হবে এবং পবিত্র রমজান মাসে ২৭ মে থেকে ১৩ জুন তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত পরীক্ষাসমূহ প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে শুরু হবে।

Tuesday, March 28, 2017

ছাত্রলীগ নেতার মায়ের মৃত্যুতে রোহিতা ছাত্রলীগের দোআ মাহফিল
মণিরামপুর কণ্ঠ ডেক্স।।

মনিরামপুরে রোহিতা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে আজ বিকাল ৫টায় মনিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য ও রোহিতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়ক মোঃ সোহাগ হোসেন এর সভাপতিত্বে ইউনিয়ন ছাত্রলীগনেতা শফিকুল ইসলাম এর মায়ের মৃত্যুতে আলোচনা সভা ও দোআ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত আলোচনা সভা ও দোআ মাহফিলে প্রধান অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রোহিতা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী বিশ্বাস, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক আশরাফুল আলম, বিশেষ অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি অধীর মন্ডল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কাজী ইনদাদুল হক, ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক শেখ মোহর আলী, ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলাম,উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম-সাঃ সম্পাদক মনিরুজ্জামান লালটু, ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি রমজান আলী এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য আশরাফুল আলম, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহবায়ক আবু সাঈদ পলাশ, নাজমুল হাসান নয়ন, ছাত্রলীগনেতা মেহেদী হাসান, শফিকুল ইসলাম,জাহিদ হাসান জনি, ইসরাফিল হোসেন সহ ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড ছাত্রলীগের নেত্রীবৃন্দ।

Wednesday, March 15, 2017

যশোর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের আবেদনপত্র আহ্বান
মণিরামপুর কণ্ঠ ডেক্স।।

স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা এমপি বরাবর যশোর জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের আগামীকাল ১৬ মার্চ ২০১৭ বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টার মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মাননীয় সভাপতি দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা এমপি’র ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে (বাড়ি-৫১/এ, সড়ক-৩/এ, ধানমন্ডি আ/এ, ধানমন্ডি, ঢাকা) আবেদপত্র জমা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো যাচ্ছে।

তারিখ: ১৫ মার্চ ২০১৭

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Tuesday, March 14, 2017

Monday, March 6, 2017

জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের মায়ের ইন্তেকাল
শোক সংবাদঃ

যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জননেতা শাহীন চাকলাদারের আম্মা ভোর আনুমানিক ০৬:৪৫ মিনিটে ঢাকা আনোয়ারা খান হাসপাতালে মৃত্যুবরন করেছেন। (ইন্নাহ- লিল্লাহে....রাজেউন....)।

বিস্তারিত পরবর্তীতে---------------

Sunday, February 12, 2017

আমি একজন পলিটিশিয়ান, ছাত্রনেত্রী
মাসুমা আক্তার পলি

আমার সাথে কিছুদিন আগে এক অফিসার এর সাথে পরিচয় হলে, যখন আমি বললাম আমি একজন পলিটিশিয়ান...ছাত্রনেত্রী। তখন সে এমনভাবে নাক-মুখ-চোখ কুচকাল যেন আমি একজন ভয়ংকর ক্রিমিনাল, চরিত্রহীন, লম্পট, খারাপ লোক। সে যেহেতু ভদ্রলোক, তাই মুখের উপর ভদ্রতা বশত কোন খারাপ মন্তব্য করল না, মনে মনে আমার চৌদ্দ গুষ্ঠি ধুয়ে দিল।

মুচকি হেসে শুধু বলল ভালই তো আছেন, আয় ইনকাম তো ভালই কি বলেন?

ইনকাম কিসের বলতেই ভদ্রলোক বললেন অমন সবাই বলে আবার সুযোগ পেলে কে না সুবিধা নেয়? ব্যাপার না। তারপর শুরু করল ওমুক নেতা এত খারাপ, মন্ত্রী-এমপিরা এত খারাপ।

তখন আমি তাকে বললাম আপনার কাছে ডাক্তাররা কেমন?
সাক্ষাৎ কষাই মিয়া, একেবারে ডাকাত।

পুলিশদের কেমন লাগে?
ফেরেপবাজ, চামার। পুলিশে ছুলে তার আর রক্ষা নাই।

আমলা?
ঘুষখোর, চোগলখোর, দূর্নীতিবাজ।

সাংবাদিক?
মিথ্যাচারী, লম্পট, বদমাশ, হলুদ সাংবাদিকে দেশটা ভরেে গেছে।

শিক্ষক?
চাঁদাবাজ, কোচিংবাজ। সবাই খারাপ বুঝলেন, সমাজটা এক্কেবারে পচে গেছে।

আমি বললাম ও আচ্ছা।

তো ভদ্রলোক কিছুদিন পরেই ফোন করে বললেন আপা আপনার কলেজে আমার ভাগনিকে ভর্তি করে দিতে পারবেন কি? টাকা পয়সা কোন ব্যাপার না।

আমি বললাম জননেত্রী শেখ হাসিনার এই দেশে ভর্তি বাণিজ্য চলে না। এই প্রথম বলল তা অবশ্য ঠিক বলছেন।

আসলে আমাদের চারপাশে এমন ভণ্ড লোকই বেশি।

আমাদের মন-মানসিকতা কেমন, সেটা বুঝা যায় আমরা নিয়মিত কোন বিষয় গুলো চর্চা করি সেটার উপর। গীবত করে আমরা বড়ই আনন্দিত হই। হয়তো নির্দিষ্ট কারও আচরণ আপনার কাছে খারাপ লেগেছে, তাকে পছন্দ নাই করতে পারেন। এটা হতেই পারে। জগতের সবাই নিশ্চয় সবাইকে পছন্দ করবে না। তা বলে ঢালাও ভাবে সবার চরিত্র হননে আপনি উঠে পড়ে লাগবেন। কোনো সভ্য সমাজে এই ধরনের প্র্যাকটিস গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

আমরা আসলে কারো ভালো দেখতে পারি না। কেউ একটু বড় হয়ে গেলে, একটু ভালো কিছু করলে আমাদের গায়ে লাগে। কিভাবে তাকে টেনে নিচে নামানো যায়, তাকে ছোট করা যায়, এই চিন্তায় আমরা নিজেদের ঘুম`ই বাদ দেই! অথচ চেষ্টা করলে যে নিজেও বড় হওয়া যায় সেই চিন্তা আমাদের মাথায় আসে না। জগতের এমন কি অতি খারাপ কিছু থেকেও যে ভালো কিছু নেয়া সম্ভব, সেটা আমরা নিতে চেষ্টা করি না।

এ থেকেই বুঝা যায় জাতিগত ভাবে আমরা এখনো সভ্য হতে পারিনি। সভ্যতা এখনো আমাদের থেকে হাজার মাইল দূরে! আমরা কেবল খারাপ`টাই নিতে এবং ভাবতে শিখেছি!

যারা অন্যের ভাল কোন ভাবেই দেখতে পারে না। অন্যের ভাল কিছু করা, খাওয়া, পরা যা দেখে তাতেই এদের শরীর জ্বালা করে, হিংসায় চোখ ভরে উঠে। তাই তারা দু`একজন খারাপ মানুষের সথে তুলনা করে সকলকে খারাপ প্রমাণ করতে চায়, সমালোচনায় চারপাশ মুখর করে তোলে।

"""আমরা যারা রাজনীতিবিদ তারা যেন এ সমস্ত ভণ্ডদের কথায় প্রভাবিত না হই। এরা রাজনীতিবিদদের চরিত্র হননে, মনোবল হননে সদা লিপ্ত। এদের কারণে মেধাবীরা রাজনীতিতে আসতে চায় না। মেধাবীদের রাজনীতিতে আসতেই হবে। কারন মেধাবীরা রাজনীতিতে না এলে সমাজের অযোগ্য, খারাপ, মেধাহীন লোকেরা রাজনীতিতে জায়গা করে নিবে। নষ্ট করবে রাজনীতির পরিবেশ আর দেশের পুরো সিস্টেম।""""

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাসুমা আক্তার পলি`র ফেসবুক থেকে নেওয়া

Saturday, February 11, 2017

শার্শায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা
মণিরামপুর কণ্ঠ ডেক্স।।

শার্শায় মাটিপুকুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরিন কোন্দলে শনিবার রাত ৯ টার সময় এক ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে আওয়ামীলীগের অপর গ্রুপের সন্ত্রাসীরা।
নিহত ছাত্রলীগ নেতা বিল্পব হোসেন (১৮) উপজেলা জিরেনগাছা গ্রামের নজরুল ইসলামের পুত্র ও উলাশী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহসভাপতি। এ ঘটনায় মেয়র গ্রুপের সমর্থকরা নাভারন বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

এলাকাবাসী জানাই, রাত ৯টার সময় বিল্পব হোসেন গ্রামে অনুষ্টিত ইসলামী জলসায় যাওয়ার পথে স্থানীয় হাসান মেম্বরের নেতৃত্বে ১০/১২ জন সন্ত্রাসী তাকে পিটিয়ে হত্যা করে।

তার অপরাধ শনিবার সকালে মেয়র গ্রুপের আওয়ামীলীগের তলবি সভায় সে যোগদান করেছিল।

এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মুহুর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের আটকে অভিযান অব্যহত রয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Wednesday, February 8, 2017

মনিরামপুর উপজেলার নামকরণের ইতিহাস


মণিরামপুর কণ্ঠ ডেক্স।। 
মুরশিদাবাদের প্রতাপশালী জমিদার প্রেমত্বকরের পুত্র জলকর এবং প্রাজ্ঞ ধ্যানী সাধক মুণিরাম ঋষি’র একমাত্র কন্যা রূহিতার প্রেম উপখ্যানের ধারাবাহিকতায় সৃষ্টি হয় মণিরামপুর। এই জনপদের ইতিহাস গবেষণায় বহু পৌরানিক কাহিনী ভেসে ওঠে। ভেসে ওঠে স্রোতস্বিনী হরিহর নদের তীরে গড়ে উঠা ইতিহাসের চোরাবালিতে বিলুপ্ত মণিরামপুরের নানান লোকগাঁথা। যিশুখ্রীষ্টের জন্মের সাড়ে সাত হাজার বছর পূর্বে দক্ষীণের বঙ্গোপসাগরের অববাহিকায় যে অঞ্চলের জঙ্গল কেটে কেটে বৈদিক যুগে গড়ে উঠেছিল অনার্যদের বসবাস এবং তারও কয়েক হাজার বছর আগে যখন দক্ষীণ অঞ্চল পানির তলে অবস্থান করছিল তখন সুন্দরবন সহ যশোর, মণিরামপুর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়ায় সভ্যতার পৃষ্ঠা জেগে উঠে ও মানব জাতির বসবাস শুরু হয়।
প্রাচীন গ্রন্থ ‘ঐতবেয় আরন্যকে’ উল্লেখ আছে অনার্য বা অসভ্য জাতি বৃক্ষ, সূর্য, চন্দ্র প্রভৃতি প্রাকৃতিক উপাদানকে ঈশ্বর জ্ঞানে পূজা করতেন। অনার্য যুগের পরবর্তী সময়ে দ্রাবিড় বা অর্দ্ধ সভ্য মানুষ বেদের কঠিন শুক্ত ভাব ভাষা বোধগম্য না হওয়ায় পৌরানিক যুগে এসে ভক্তিবাদ রূপকাশ্রিত
মুর্তি পূজা শুরু করে। সিংহ, বাঘ, সর্প, প্রভৃতি শক্তিধর জীবজন্তু তাদের পূজা পায়। এই দ্রাবিড়গণ অনার্যদের সাথে মিশে সভ্যতার এক নতুন দিক উন্মোচন করেন। বর্তমানে যশোরের বিভিন্ন অঞ্চলে যে ডোম এবং বুনো নামে দুটি পৃথক গোষ্ঠী বাস করে তারা অনার্য ও দ্রাবিড় জাতির মিশ্রিত জাতি বলে কথিত। আজও তারা শিক্ষা ও সভ্যতার অন্তরালে থেকে এক অন্ধকারময় জীবন যাপন করছেন। মণিরামপুরের হোগলড্গা, মধুপুর ও ঘুঘুদাহ সহ কয়েকটি গ্রামে এই প্রাচীন ডোম ও বুনোদের বসবাস লক্ষ্য করা যায়। পরবর্তীকালে আনুমানিক খ্রীষ্টপূর্ব ৩৫০০ বছরেরও পূর্বে আর্য নামে একটি সভ্য জাতি পোল্যান্ড এবং মধ্য এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চল হতে বাসভূমি ও সহজ খাদ্য সংস্থানের জন্য বা দিগবিজয়ের নির্মিত্তে বের হয়ে একদল পারস্যে এবং অপর দল ভারতবর্ষের সিন্ধু প্রদেশে বসতি স্থাপন করে। এই আর্য জাতি বৈদিক ধর্মের অনুসারী ছিলেন। ঋক, সাম, যজু, অর্থব গ্রন্থগুলি আর্য সভ্যতার পথিকৃৎ। আর্যদের যে শাখা পারস্যে বসতি স্থাপন করছিলেন স্থানীয় প্রভাবে বিকৃত উচ্চারণ হেতু সিন্ধু নদকে হিন্দু নদ বলতেন। এই হিন্দু নদের তীরে বসতি স্থাপনকারী আর্য গোষ্ঠীকে তারা হিন্দু বলে অভিহিত করতেন। যা পরবর্তীতে মহত্বা গান্ধী রাষ্ট্রীয়ভাবে হিন্দু নামে সীলমোহরকৃত জাতিতে পরিণত করেন।
কালক্রমে হিন্দু জাতি প্রাচীন ভারতের সকল জায়গায় ছড়িয়ে পড়েন। যশোর ও পাশ্ববর্তী অঞ্চলেও তারা বসতি স্থাপন করেন। হিন্দু সম্প্রদায় (মিলিত অনার্য, দ্রাবিড় ও আর্য) এর প্রাচীন বৈদিক প্রথায় মণিরামপুরের দূর্গপুর গ্রাম কতটা সম্পৃক্ত এবং মণিরামপুর যে পৌরানিক যুগ থেকে দুর্গাপুর নামে পরিচিত ছিলো তার সুবিশাল তাত্ত্বিক ইতিহাস ধারাবাহিক ভাবে আলোচনা হবে।
সেই আদিযুগ থেকে মানুষ গবেষণায় লিপ্ত। সময়ের সাথে গবেষণার ব্যপ্তিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব নিয়ে গবেষকরা গবেষণা চালিয়ে যেটা পেয়েছেন পৃথিবীতে প্রাণের সূচনা হয়েছিল ২২০ কোটি বছর আগে। অর্থাৎ আগের ধারণার চেয়ে প্রায় চারগুণ বেশী আগে প্রাণের সূচনা হয়েছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার ভূখন্ডে প্রাপ্ত পাতলা কাঠের টুকরোয় জীবাশ্ম পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা এই ধারণা পেয়েছেন। এ বিষয়ে একটি গবেষণা নিবন্ধ ক্যাম্ব্রিয়ান রিসার্চ জার্নালে সম্প্রতি প্রকাশিত। বিজ্ঞানীরা ঐ কাঠের টুকরোর নাম দিয়েছেন ‘ডিসকাগমা বোটানি’। এর অর্থ চাকতি আকৃতির কাঠের বোতামের টুকরো। এই জীবাশ্ম প্রকৃতপক্ষে কিসের তা বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত নন। তবে এটা নিশ্চিত যে ওই জীবাশ্ম অন্তত কোন প্রাণী বা উদ্ভিদের নয়। জিওলজিক্যাল সায়েন্সের প্রধান গবেষক অধ্যাপক গ্রেগরি জে রিটালাক জানান এই জীবাশ্মের সঙ্গে বর্তমানে মাটির উপাদান জিওশিফন ফাঙ্গাসের গঠনের মির আছে। এ ফাঙ্গাসের অভ্যান্তরিন গর্ত সিমবায়েটিক সায়ানো ব্যাকটেরিয়া দিয়ে পূর্ণ থাকে। তিনি বলেন এই সায়ানোব্যাকটেরিয়া যা ভূমিকে সবুজ করতে ভূমিকা রাখে। এর ফলে ২২০ থেকে ২৪০ কোটি বছর আগে পৃথিবীর বায়ু মন্ডলে অক্সিজেনের পরিমান বৃদ্ধি পায় বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা। পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব থেকে এখন আসি মণিরামপুরের অস্তিত্বে। প্রথমে নামকরণের ইতিহাস। এ নিয়ে রয়েছে নানান কাহিনী, গল্প আর পৌরানিক ব্যাখ্যা। গ্রীক ইতিহাস লেখার জন্য, হিরোডটাস এর মতো ইতিহাসের জনক থাকলেও ভারতীয় উপমহাদেশের বাংলার ইতিহাস লেখার জন্য কেউ ছিলো না। তবে সম্রাট আকবর এর শাসনামলে আবুল ফজল লিখিত ‘আকবরনামা’ ও আইনই আকবর বহু যুগের প্রাচীন ইতিহাস বহন করে। এছাড়া মির্জা নাথান এর বাহারীস্থান-ই গায়বী, এম এ রহিম এর বাংলার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাস, ডব্লিউ এইচ মোরল্যান্ড এর ‘এ্যাগরোরিয়ান সিস্টেম অব ইন্ডিয়া’। পরবর্তীতে সতীশচন্দ্র মিত্র রচিত যশোর-খুলনার ইতিহাস ১ম খন্ড ১৯১৪ সালে এবং ২য় খন্ড ১৯২২ সালে প্রকাশিত হয়। সকল ইতিহাস পর্যালোচনা ও গবেষণা করলে কয়েকটি শক্ত যুক্তি প্রমানের সন্ধান মেলে। তার মধ্যে যশোর রাজ্যের সীতারাম রায় ১৬৯৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর তার বন্ধু ও পরামর্শদাতা প্রখ্যাত আইনজ্ঞ উকিল মুণিরাম রায়কে নিয়ে নানা কাহিনীর সাথে মুণিরামের কন্যার সাথে রাজা সীতারামের বিবাহ জটিলতা এবং মণিরামপুর সৃষ্টি। তারও পূর্বে প্রগৈতিহাসিক যুগের হাজার বছর পিছনের ইতিহাসে ফিরলে জানা যায় আটলান্টিক হয়ে বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী গভীর জঙ্গলের সাপদময় এই মণিরামপুর এর হরিহরনগর অঞ্চলে দেড়শত হাতির পিঠে চড়ে কখনো সাগর নদীপথে, কখনো স্থল পথে, কখনো জঙ্গল ভেদ করে এক বীরযোদ্ধার আগমন ঘটে । সেই মহাবীর ‘মারাঙ রামমণিক্য’ এখানে বসতি স্থাপন করেন। প্রাচীন পরাশয়া পুরাণের সপ্তদশ খন্ডে বলা হয়েছে রামমণিক্যচরের মানুষ অর্থাৎ আজকের মণিরামপুরের মানুষ মহাবীর মারঙ রামমণিক্যের বংশধর। তখন বঙ্গোসাগরের উপকণ্ঠের এই অঞ্চলকে বলা হতো রামমণিক্যচর। ঐ সময় বঙ্গোপসাগর থেকে গঙ্গা-পদ্মার মাঝখানের বিশাল সুন্দরবনের উপকন্ঠ রামমাণিক্যচর নামে পরিচিত ছিল। তাদের ভাষা ছিলো বিকৃত নানান ভাষার মিশ্রণ। কথিত আছে প্রাচীন মঙ্গলীয় ও স্পেন অঞ্চলের নারীরা পরবর্তীতে এই বীরদের কাছে এসে মিলিত হতেন তাদের গর্ভে বীরসন্তান ধারণ করবার জন্য। সেই সূত্রে স্পেনের শাসক ইসাবেলা, ফার্র্ডিন্যান্ড (কলম্বাসের আমেরিকা আবিস্কারের পূর্বের শাসক) এই মহাবীর মারাঙ রামমণিক্যের বংশধর ছিলেন এটা বলা যেতে পারে। পূরাণের বিশাল এই রাম মণিক্যচর সম্পর্কিত কাহিনী জানা যাবে। এছাড়া মণিরামপুর নামকরণের আরও বিশ্বাসযোগ্য কাহিনী- যেটা দিয়ে লেখা শুরু হয়েছিল- অলিখিত ইতিহাসের চোরাবালিতে বিলুপ্ত হয়েছে আমাদের বীরত্বগাঁথা। আবার অজানা বয়ে গেছে বাংলার স্বাধীন নবাব শেরশাহ ১৫৪১ সালে যশোর থেকে ফাতেহাবাদ, যশোর থেকে মণিরামপুর হয়ে সাতক্ষীরার এই রাস্তাটি নির্মাণ করেন এবং বেশ কয়েকবার মণিরামপুরের উপর দিয়ে ঘোড়ায় চড়ে সাতক্ষীরা গমন করেন।
সুবাবাংলার নবাব মুরশিদকুলি খান ১৭০৪ সালে ক্ষমতা দখল করার পর বাংলার রাজধানী ঢাকা থেকে মুরশিদাবাদে স্থানান্তর করেন। তার নামানুসারে মুরশিদাবাদের নামকরণ করেন। ১৭১১ সালে নবাব মুরশিদকুলি খান প্রেমত্বকরকে মুরশিদাবাদের জমিদার এর দায়িত্ব প্রদান করেন। ১৭১৫ সালে জমিদার প্রেমত্বকরের পুত্র জলকর ভালোবাসেন ঐ একই রাজ্যের জায়গীর প্রাজ্ঞ সাধক মুণিরাম ঋষির একমাত্র কন্যা রূহিতাকে। জলকর ও রূহিতার প্রেম যখন তুমূল পর্যায়ে তখন সারা রাজ্যময় জানাজানি হয় এবং জমিদার প্রেমত্বকর জানতে পেরে মুনিরাম ঋষিকে তার জায়গীর থেকে উচ্ছেদ করেন। এ ঘটনায় মর্মাহত হয়ে মুণিরাম ঋষির স্ত্রী শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তখন মাতৃহীন কন্যা রূহিতাকে নিয়ে বাবা মুণিরাম ঋষি জমিদারের রক্ত চক্ষুর আড়ালে যাওয়ার জন্য মনস্থির করেন এবং নিরুদ্দ্যেশ যাত্রা করেন। নদীপথে ভাসতে ভাসতে এক গভীর রাতে হরিহর নদের ঘাটে ভেড়েন এবং সামনে একটি বিস্তৃত পাকুড় গাছ দেখে তার তলায় আশ্রয় গ্রহণ করেন। বর্তমানে মণিরামপুর মশুরী হাটের কালী মন্দীরের বটগাছ সাদৃশ পাকুড় গাছ তলায় বাবা মুণিরাম ঋষি ও কন্যা রূহিতা রাত্রী যাপন করেন। মণিরাম ঋষি ছিলেন লম্বা সুঠাম দেহের লম্বা চুলের ধ্যানী সাধক পুরুষ। চোখের গভীরে লুকানো ইতিহাস তার জ্ঞান প্রজ্ঞার প্রতিচ্ছবি। প্রাচীন গ্রন্থ পাঠে ছিলো তার গভীর মোহ। সকাল হতেই মানুষের ভীড় জমে যায়। সবাই দেখতে থাকে গভীর ধ্যানে মগ্ন এক সন্ন্যাসী সাধক দেবতা তুল্য ঋষি পুরুষকে। পাশে হাজার বছরের ক্লান্তির চোখে মায়াবী লক্ষী সুন্দরী রূহিতা (যার নামে মণিরামপুরের রোহিতা গ্রাম,পূর্বে মানচিত্রে রুহিতা ছিল)। ধ্যানে জ্ঞানে পূর্ণ সাধক ঋষি দৃঢ় মনোবল নিয়ে অর্জন করেন মানুষের ভালোবাসা। আর রূহিতার ভিতর বাহির একাই ভাবনায় প্রেমিক জলকর। হৃদয় মন্দিরে যার পূজা সর্বক্ষণ ঘুমে নির্ঘুমে স্থির রূহিতার ভিতরটা যেন অস্থির হয়ে ওঠে ক্রমশ। স্বপ্নের জাল ভেদ করে চোখের পাতায় ভাসতে থাকে নানান দৃশ্যকল্প। ওদিকে জমিদারপুত্র জলকর রূহিতাকে না পেয়ে দিগবিদিক খুঁজতে থাকে। তখন জলকর জানতে পারে তার বাবা প্রেমত্বকর রূহিতার বাবাকে জায়গীর থেকে উচ্ছেদ করেছে। সাথে সাথে জলকর ঘোড়া ছুটিয়ে সারা রাজ্যময় তোলপাড় করে ফেলে এবং কয়েকদিন পর জলকর রূহিতাকে খুঁজে পায় এই মণিরামপুরে। জলকর কাউকে কিছু না বলে রূহিতাকে ঘোড়ার পিঠে তুলে নিয়ে পালাতে থাকে। তখন মুণিরাম ঋষি যশোর রাজ্যের রাজা সীতারাম এর কোর্টে নালিশ জানায় এবং সাথে সাথে রাজ্যর নিরাপত্তা প্রহরী সৈন্যদল জলকর ও রূহিতাকে ধাওয়া করে। রূহিতা ঘোড়ার পিঠ থেকে পড়ে এলামেলো দৌড়াতে থাকে। আর জলকরকে ধরে ফেলে আজকের জলকর গ্রামে এসে। যার নামে জলকর গ্রামের নামকরন। তারপর রূহিতা ও জলকর রাজা সীতারামের হেফাজতে বন্দি হয়। প্রেমের কাহিনী শুনে রাজা সীতারাম তাদের বিয়ে দিয়ে জমিদার প্রেমত্বকরকে বার্তা পাঠালে তীব্র ক্রোধে জমিদার জলকরকে ত্যাজ্য করে তার উত্তরসুরী থেকে বঞ্চিত করেন। তখন রূহিতা ও জলকর দু’জন অজানা পথে চলে যান যার খোঁজ আর কোনদিন মেলেনি। এদিকে মুণিরাম ঋষি সব হারিয়ে ধ্যানে মননে ভগবানের সান্নিধ্য লাভে নিজেকে সমর্পণ করেন। ক্রমে তিনি ধর্ম পালন আর জ্ঞান অন্বেষণের ভিতর দিয়ে সামাজিক হয়ে ওঠেন। মানুষের সুখে দু:খে একাত্ব হয়ে যান। এই বৃহৎ অঞ্চলের সর্ব শ্রেণীর মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে তিনি এই মন্দিরেই জীবন পার করেন। ১৭২৮ সালে এই মহান প্রজ্ঞা সাধক মুণিরাম ঋষির মৃত্যু হলে এই অঞ্চলে শোকের ছাঁয়া নেমে আসে। মানুষের ভিতরের ভালোবাসার বহির্প্রকাশে আস্তে আস্তে এর নাম হয়ে যায় মুণিরামপুর। পরে মণিরামপুর। পরবর্তী সময়ে ১৯১৭ সালে ১৫ জুলাই ১৫টি ইউনিয়ন নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় মণিরামপুর থানা। ঐ সালের ২১ সেপ্টেম্বর গ্যাজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার পর ১৯১৮ সালের ১’ জানুয়ারী থেকে মণিরামপুর থানার কার্যক্রম চালু হয়। ১৯৮৩ সালের ১৫ এপ্রিল উপজেলায় রূপান্তর হয়। বর্তমানে ১৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে আমাদের প্রাণের ঐতিহ্যবাহী মণিরামপুর।।  ★★সংগৃহীত★★ 

Monday, January 30, 2017

মনিরামপুর প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন★ সভাপতি লিটন, সম্পাদক মোতাহার
মনিরামপুর কণ্ঠ ডেক্স।।

মণিরামপুর প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার সকাল ১০ টা হতে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে মনিরামপুর পাবলিক লাইব্রেরী হল রুমে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসক্লাবের ৫২ জন ভোটারের মধ্যে ৫১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ১৭টি পদের বিপরীতে ২৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। নির্বাচনে ভোটারদের গোপন ভোটে সভাপতি পদে ফারুক আহম্মেদ লিটন (দৈনিক সমাজের কাগজ), সহ-সভাপতি পদে নুরুল ইসলাম খোকন (দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ), এমএ মতিন (দৈনিক নয়াদিগন্ত/স্পন্দন), অর্থ সম্পাদক পদে ডাঃ মিজানুর রহমান (দৈনিক আলোকিত সংবাদ), দপ্তর সম্পাদক পদে জাহাঙ্গীর আলম (দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন), ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে হারুন-অর-রশিদ সেলিম (দৈনিক ভোরের দর্পন/ প্রজন্মের ভাবনা),তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পদে শফিয়ার রহমান (দৈনিক সত্যপাঠ), প্রচার সম্পাদক পদে হারুন অর-রশীদ (দৈনিক নওয়াপাড়া), নির্বাহী সদস্য পদে অধ্যাপক আব্বাস উদ্দীন (দৈনিক ভোরের ডাক/ প্রবাহ), অধ্যাপক হোসাইন নজরুল হক (দৈনিক আমার সময়), উৎপল বিশ্বাস (দৈনিক গ্রামের কাগজ), আসাদুজ্জামান রয়েল (দৈনিক দিনকাল/নওয়াপাড়া) ও মাস্টার আনিছুর রহমান (দৈনিক পূর্বাঞ্চল/যশোর) নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচন পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাচন অফিসার সৈয়দ আল এমরান ও উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন। এর আগে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হন সাধারণ সম্পাদক পদে মোতাহার হোসেন (দৈনিক যুগান্তর/ সমাজের কথা), যুগ্ম সম্পাদক পদে জিএম ফারুক আলম (দৈনিক সকালের খবর/সত্যপাঠ), প্রভাষক নুরুল হক (দৈনিক ভোরের কাগজ/স্পন্দন) ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে এসএম সিদ্দিক (দৈনিক সময়ের খবর)।
এদিকে প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিতদের অভিনন্দন জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু, পৌর মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসান, যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ, জেলা আ’লীগের সদস্য প্রভাষ,,ক ফারুক হোসেন, জেলা পরিষদের সদস্য শহীদুল ইসলাম মিলন, গৌতম চক্রবর্তী, এসএম ফারুক হুসাইন, আইনজীবি সমিতির নেতা এ্যাড. বশির আহম্মেদ খান, প্যানেল মেয়র-১ কামরুজ্জামান, মনিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মুরাদুজ্জামান মুরাদ ও পাবলিক লাইব্রেরীর নেতৃবৃন্দ।

Sunday, January 29, 2017

মনিরামপুর প্রেসক্লাবের নির্বচন আজ

মণিরামপুর কণ্ঠ ডেক্স।।

স্থানীয় নির্বাচন কমিশনের সকল প্রস্তুতির মধ্যদিয়ে আজ সোমবার মণিরামপুর প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলবে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিরতীহীন ভাবে মণিরামপুর পাবলিক লাইব্রেরীর হলরুমে এ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনী তফশীল অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দ আল এমরান। এ নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক দুইজন ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে কোন প্রার্থী না থাকায় সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক জি,এম ফারুক আলম ও নূরুল হক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে এস,এম সিদ্দিক আজ ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণায় নির্বাচিত হবেন। সভাপতি পদে মনোনয়নপত্র ক্রয় করেন ৪ জন। তাদের মধ্যে এস,এম মজনুর রহমান ও শাহিনুর রহমান পান্না প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেন এবং পরে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের সময় পার করিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সভাপতির পদ থেকে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ান এ,কে,এম নিছার উদ্দীন খান আজম। ফলে সভাপতি পদে প্রার্থী হিসেবে একমাত্র বহাল রয়েছেন ফারুক আহমেদ লিটন। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন, সভাপতি প্রার্থীর পদ থেকে প্রত্যাহারের বৈধতা পেয়েছেন এস,এম মজনুর রহমান ও শাহিনুর রহমান পান্না। কিন্তু প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কোন প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাড়ালেও আইন ও সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিনি নির্বাচনে প্রার্থী বহাল রয়েছেন। অন্যান্য পদে সহ-সভাপতি তিন জন, দপ্তর সম্পাদক দুই জন, অর্থ সম্পাদক দুই জন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক দুই জন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক দুই জন, প্রচার সম্পাদক দুই জন, এবং কার্য নির্বাহী সদস্য পদে সাত জন প্রার্থী হিসেবে প্রথম থেকেই নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন।

Thursday, January 26, 2017

মনিরামপুরে সিটিপ্লাজা ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন পৌর মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসান
মণিরামপুর কণ্ঠ ডেক্স।।

যশোরের মনিরামপুর কলেজে বৃহস্পতিবার আট দলের অংশ গ্রহনে সিটিপ্লাজা ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হয়েছে। উদ্বোধনী দিনে মনিরামপুর ক্রিকেট একাডেমি ছয় ইউকেটে কলারোয়া ক্রিকেট একাডেমিকে পরাজিত করে জয়ী হয়েছে।
মনিরামপুর ক্রিকেট একাডেমির আয়োজনে এবং সিটিপ্লাজার অর্থায়নে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মনিরামপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসান। সহকারি অধ্যাপক উত্তম চন্দ্রের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মনিরামপুর কলেজের অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম ফারকী, সিটিপ্লাজার চেয়ারম্যান এস.এম.ইয়াকুব আলী, দৈনিক গ্রামের কাগজের সম্পাদক মবিনুল ইসলাম মবিন। উদ্বোধনী দিনে মনিরামপুর ক্রিকেট একাডেমি বনাম কলারোয়া ক্রিকেট একাডেমি অংশ নেয়। প্রথম ব্যাট করে কলারোয়া ক্রিকেট একাডেমি আট ইউকেটে ১৩০ রান অর্জন করে। অপরদিকে মনিরামপুর ক্রিকেট একাডেমি চার ইউকেটে ১৩৪ রান অর্জন করে।
যশোরে পিকনিকের বাস দূর্ঘটনায় নিহত ৪, আহত-২০
মণিরামপুর কণ্ঠ ডেক্স।।

পিকনিকে যাওয়ার সময় যশোরের চৌগাছার বর্ণি রামকৃষ্ণপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি স্কুল বাস উল্টে এক শিক্ষক ও দুই ছাত্রীসহ ৪ জন নিহত ও কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে যশোরের চৌগাছা-পুড়াপাড়া সড়কের দানবাক্স নামকস্থানে এ ঘটনা ঘটে। চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম মশিউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলো- বর্ণি রামকৃষ্ণপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমাইয়া ও একই স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী বৃষ্টি ওরফে সাথী ও গাড়ির হেলপার সিরাজুল ইসলামের ছেলে মিলন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আহতদের চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে, রাত সাড়ে ৯টার দিকে চৌগাছার বর্ণি রামকৃষ্ণপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দিনাজপুরের স্বপ্নপুরে পিকনিকে যাচ্ছিল। ছেলে ও মেয়েদের দুটি বাসে প্রায় একশ যাত্রী ছিল। মেয়েদের বহনকারী (ময়মনসিংহ ব০৫-০০১০) বাসটি পুড়াপাড়া সড়কের খড়িঞ্চা এলাকার দানবাক্স নামকস্থানে পৌঁছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে তালগাছের সাথে ধাক্কা খায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান গাড়ির হেলপার মিলন, শিক্ষার্থী সাথী ও সুমাইয়া।

এদিকে স্থানীয় সূত্রগুলো চারজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করলেও যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহীদ মোহাম্মদ আবু সরোয়ার সাংবাদিকদের  জানিয়েছেন, পিকনিকের বাস দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত ও আরও ২০ জন আহত হয়েছেন।

যশোর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক পরিমল কুমার জানান, খবর পেয়ে যশোর ও কোটচাঁদপুর স্টেশনের ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেছে। বেশ কয়েকজন মারা গেছেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে এখনও হতাহতের সঠিক সংখ্যা নিশ্চিত হতে পারিনি।

Tuesday, January 24, 2017

মণিরামপুর প্রেসক্লাব নির্বাচন ★সাধারন সম্পাদকপদে মোতাহার,যুগ্ম সাধারন সস্পাদক পদে ফারুক ও নুরুল হক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সিদ্দিক বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন
মণিরামপুর কণ্ঠ ডেক্স।।

মণিরামপুর প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন ২০১৭’র ১৭ পদের মধ্যে ৩টি পদে কোন প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় ৪ জন নির্বাচিত হতে চলেছেন। এরমধ্যে সাধারন সম্পাদক পদে মোতাহার হোসেন, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক পদে জিএম ফারুক আলম, প্রভাষক নুরুল হক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে এসএম সিদ্দিক নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। অন্য ১৩ টি পদের বিপরীতে ২৭ জন মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন। রবিবার ছিল মনোনয়ন সংগ্রহ ও জমাদানের শেষ দিন। এরমধ্যে সভাপতি পদে এসএম মজনুর রহমান, ফারুক আহম্মে লিটন, একেএম নিছার উদ্দীন খান আজম ,শাহিনুর রহমান পান্না, সহসভাপতি পদে এমএ মতিন, মোঃ মনিরুজ্জামান, অধ্যাপক নুরুল ইসলাম খোকন, অর্থ সম্পাদক পদে ডাঃ মিজানুর রহমান, তাজ উদ্দীন আহম্মেদ, দপ্তর সম্পাদক পদে মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, অশোক কুমার বিশ্বাস, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মোঃ মনোয়ার উদ্দীন আহম্মেদ, হারুণ-অর-রশিদ সেলিম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পদে মোঃ শফিয়ার রহমান, উজ্জ্বল কুমার রায়, প্রচার সম্পাদক পদে মোঃ আলিমুন হোসেন, মোঃ হারুন-অর-রশীদ, নির্বাহী সদস্য পদে রাহাত আলী, আসাদুজ্জামান রয়েল, অধ্যাপক হোসাইন নজরুল হক, মোঃ জয়নুল আবেদীন, উৎপল বিশ্বাস, মাস্টার আনিছুর রহমান, অধ্যাপক আব্বাস উদ্দীন, মোঃ রবিউল ইসলাম। উল্লেখ্য, ২৪ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র বাছাই ও ২৫ জানুয়ারি প্রত্যাহারের শেষ দিন। আগামী ৩০ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

Saturday, January 7, 2017

মনিরামপুরে ছাত্রলীগের ৬৯ তম প্রতিষ্টা বার্ষিকী উৎযাপন
মণিরামপুর কণ্ঠ ডেক্স।।


বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ( ৪ঠা জানুয়ারি ) প্রতিষ্টা বার্ষিকী । গৌবর,ঐতিহ্য ,সংগ্রাম ও সাফল্যের ৬৯ বছরে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ,মনিরামপুর উপজেলা শাখা কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মনিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মোঃ মুরাদুজ্জামান মুরাদ । পরিচালনা করেন মনিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ ফজলুর রহমান, প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মনিরামপুর পৌরসভার সম্মানিত মেয়র আলহাজ্ব অধ্যক্ষ কাজী মাহমুদুল হাসান, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ও যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য প্রভাষক ফারুক হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রনেতা ও কাউন্সিলার গোপাল মল্লিক,উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক মোঃ মনিরুজ্জামান মিল্টন, যশোর জেলা ছাত্রলীগের সদস্য মোঃ মফিজুর রহমান আকাশ, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ ফরহাদ হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক বাপ্পী কুন্ডু, মোঃ মামুনুর রশিদ জুয়েল, আতিকুর রহমান আতিক,অচিন্ত্য জনি, অভিজিৎ দত্ত,মোঃ হাবিবুর রহমান দ্বীপ, মোঃ ইসরাফিল হোসেন, হেলাল, বুলবুল, ওলিয়ার, সোহাগ, শরিফ,নাজমুল, জাকির, সাঈদ, সুমন, নয়ন, বাপ্পী, লিটন,হাদিউজ্জামান,রাজু আহমেদ, সুদ্বিপ সিংহ, আতিয়ার ,রায়হান ,মুরাদ, আসাদ সহবিভিন্ন নেতৃবৃন্দ ।