মণিরামপুর কণ্ঠ ডেক্স।।
মনিরামপুরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মহিলা মেম্বরের মেয়ে(৭ম শ্রেণীর ছাত্রী)কে নিয়ে প্রেমিক ও তার বন্ধুরা গণধর্ষন শেষে নদীর পাশে পাটের স্তুপের উপর রেখে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এলাকাবাসী ধর্ষিতাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধারের পর স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির জিম্মায় দেন। গতকাল শুক্রবার পুলিশ ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এলাকাবাসী ও ভিকটিমের অভিভাবকরা জানায়, মনিরামপুর সদর ইউনিয়নের বাকোশপোল গ্রামের এক মহিলা মেম্বরের মেয়ে ৭ম শ্রেণীর ছাত্রীর সাথে পার্শ্ববর্তি খোজালীপুর গ্রামের মশিয়ার রহমানের ছেলে মামুনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ১৬ জুলাই সন্ধ্যার দিকে বাড়িতে কেউ না থাকার সুবাদে মামুন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই কিশোরীকে নিয়ে যায়।
ওই কিশোরী জানায়, রাতে একটি বাগানে নিয়ে মামুন ও তার বন্ধু আল আমিন, সুমন ও ইয়াছিন তাকে পালাক্রমে ধর্ষন করে। এ সময় কিশোরী অচেতন হয়ে পড়ে। পরদিন ১৭ জুলাই সকালে হরিহরনদীর পাশে পাটের স্তুপের উপর থেকে এলাকার নারী কর্মী উম্মে সালমাসহ এলাকাবাসী অচেতন অবস্থায় কিশোরীকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তি কাশিমনগর ইউনিয়নের ওয়ার্ড মেম্বর আনিচুর রহমানের জিম্মায় রাখে। এ ঘটনায় ১৯ জুলাই থানায় অভিযোগ করা হয়। গতকাল শুক্রবার দুুপুরে এসআই পলাশ কুমার ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় আনে।
এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ কিশোরীকে উদ্ধারের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, উভয় পক্ষের অভিভাবকদের থানায় ডাকা হয়েছে। দ্ধারের পর স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির জিম্মায় দেন। গতকাল শুক্রবার পুলিশ ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
0 comments: